
আজ ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন—৫ আগস্ট। এই দিনটি স্মরণ করে নেয়া হয় সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি, যেদিন দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণের উত্তাল আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতন হয়।
২০২৪ সালের জুলাই মাসজুড়ে সারা দেশে দানা বাঁধে তীব্র গণআন্দোলন। জনতার কণ্ঠে ধ্বনিত হতে থাকে একটাই স্লোগান—“গণতন্ত্র চাই, ভোটের অধিকার চাই।” শহর থেকে গ্রাম, ছাত্র থেকে শ্রমিক, রাজপথে একত্রিত হয় সমস্ত শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই আন্দোলনের ঢেউ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো।
হাসিনা সরকারের একনায়কতান্ত্রিক শাসন, ভোটাধিকার হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধী মত দমন—সবকিছুর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ তখন আর চুপ করে থাকেনি। তারা বুঝে গিয়েছিল, আর সময় নেই, এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে।
জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহেই শুরু হয় চূড়ান্ত আন্দোলন। ৫ আগস্ট ভোর থেকেই ঢাকার রাজপথসহ সারাদেশে নেমে আসে লক্ষ লক্ষ মানুষ। শুরু হয় “জুলাই গণঅভ্যুত্থান”। পুলিশ ও সরকারি বাহিনীর দমন–পীড়নের মুখেও পিছু হটে না জনগণ। অবশেষে, তুমুল গণচাপের মুখে ৫ আগস্ট ভোরে পালিয়ে যায় হাসিনা। ইতিহাসে এই দিনটি চিহ্নিত হয়ে যায় “ফ্যাসিবাদ পতনের দিন” হিসেবে।
আজ এক বছর পূর্ণ হলো সেই মহামানবিক বিজয়ের। এই দিন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—



আমরা ভুলিনি
আমরা ভুলিনি সেই শহীদদের, যারা রাজপথে প্রাণ দিয়েছিলেন। আমরা শ্রদ্ধা জানাই তাদের, যাদের ত্যাগে আজকের মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছি।
আমরা শপথ করি
এই অর্জনকে রক্ষা করব, নতুন বাংলাদেশ গড়ব—
একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ের, সুশাসনের রাষ্ট্র।