০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত, আহত ১২

কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনায় পরিণতি রক্তাক্ত সংঘর্ষ, হত্যা,  চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন নামে একজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ দুপুরে জোরারগঞ্জ থানার বারৈয়ারহাট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল বলে জানা যায়।  সূত্র জানায়, বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। স্বাধীনতা দিবসের দিন শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা ছিল সেই আশঙ্কায় উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ১৪৪ ধারা জারী থাকা সত্ত্বেও সকাল ১১টায় এক পক্ষ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শহীদ মিনারে ফুল দেয়, যা প্রতিপক্ষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। এরপর দুপুরের দিকে বারৈয়ারহাট এলাকায় দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাঁধে, যা ধীরে ধীরে ব্যাপক আকার ধারণ করে। গুলি ও ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার, পরিস্থিতি উত্তপ্ত! সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন প্রাণ হারান, আর আহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করে। তবে সংঘর্ষ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরবর্তী অপরাধমূলক কার্যকলাপ ঠেকাতে প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া! এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে বেশ উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা রাজনৈতিক সহিংসতার এমন চিত্র দেখতে চায় না,  সংঘর্ষের মাত্রা এবং নিহতের ঘটনায় তারা হতবাক, আমরা এমন সহিংসতা চাই না। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু তাই বলে মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনের বক্তব্য-পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, এলাকায় যেন আর কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পাংশায় পাওনা টাকা না পেয়ে শ্বশুরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, জামাতাসহ আটক ৩

মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত, আহত ১২

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনায় পরিণতি রক্তাক্ত সংঘর্ষ, হত্যা,  চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন নামে একজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ দুপুরে জোরারগঞ্জ থানার বারৈয়ারহাট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল বলে জানা যায়।  সূত্র জানায়, বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। স্বাধীনতা দিবসের দিন শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা ছিল সেই আশঙ্কায় উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ১৪৪ ধারা জারী থাকা সত্ত্বেও সকাল ১১টায় এক পক্ষ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শহীদ মিনারে ফুল দেয়, যা প্রতিপক্ষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। এরপর দুপুরের দিকে বারৈয়ারহাট এলাকায় দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাঁধে, যা ধীরে ধীরে ব্যাপক আকার ধারণ করে। গুলি ও ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার, পরিস্থিতি উত্তপ্ত! সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন প্রাণ হারান, আর আহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করে। তবে সংঘর্ষ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরবর্তী অপরাধমূলক কার্যকলাপ ঠেকাতে প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া! এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে বেশ উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা রাজনৈতিক সহিংসতার এমন চিত্র দেখতে চায় না,  সংঘর্ষের মাত্রা এবং নিহতের ঘটনায় তারা হতবাক, আমরা এমন সহিংসতা চাই না। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু তাই বলে মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনের বক্তব্য-পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, এলাকায় যেন আর কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।