০২:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে ঈদের নতুন জামা পেয়ে খুশি পথশিশুরা

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবারেও অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ‘সহমর্মিতা ঈদ’ উদযাপন করেছে নরসিংদী বন্ধুসভা। ঈদ খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি ঘুরে ৬০ জন শিশুকে খুঁজে বের করা হয়। তাদের গায়ের মাপমত বা দোকানে নিয়ে গিয়ে পছন্দ অনুযায়ী নতুন জামা কিনে পড়িয়ে দেন বন্ধুরা। এছাড়াও তাদের হাতে পড়িয়ে দেওয়া হয় মেহেদীর রং। এভাবেই গত ৫ দিন (২৫ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ) নরসিংদী বন্ধুসভার সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় যাচাই-বাছাই করে নিম্ন আয়ের পরিবার খুঁজে বের করে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে এসেছেন। নরসিংদী রেলস্টেশনসংলগ্ন এলাকা, শহরের খালপাড় ও আরশীনগর বস্তিতে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়াও কয়েকজন ভিক্ষুকের হাতে খাদ্য সহায়তা এবং ভ্রাম্যমান শিশুর হাতে নতুন জামা তুলে দেওয়া হয়। খাদ্যসামগ্রীর তালিকায় ছিল, সেমাই, পোলাওর চাল, নুডুলস, সয়াবিন তেল, তরল দুধ, চিনি, পেঁয়াজ ও কিসমিস।  ৮ বছর বয়সী ইভার বাবা রাজমিস্ত্রীর সহকারীর কাজ করেন। জামা হাতে পেয়ে একগাল হেসে ইভা বলে, তোমগোর দেওয়া জামাটা খুব সুন্দর। ঈদের দিন পইড়া ঘুরতে বাইর হমু।  অসুস্থ হয়ে ৬ মাস ধরে ঘরে পড়ে থাকা বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী রহিমা আক্তার বলেন, এক্সিডেন্ট কইরা পা ভাইঙ্গা কাজের মানুষটা ঘরে পইড়া আছে। বাচ্চাডারে একটা জামাও কিননা দিতে পারি নাই। আপনারা তারে জামা কিন্যা দিয়া, ঈদের বাজার কইরা দিয়া আমাগর অনেক উপকার করছেন। আল্লাহ আপনাগর ভালো করব। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অসচ্ছ্বল পরিবারগুলোর সদস্যদের বিশেষ করে শিশুদের মুখের হাসি উপভোগ করে বন্ধুরাও খুবই আনন্দিত। তারা বলছেন, নতুন জামা পাওয়ার পর একটি শিশুর মুখে যে হাসি ফুটে উঠে, তা দেখতে পাওয়া সত্যিই আনন্দের। উপদেষ্টা, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ঈদ বাজেটের একটি অংশের অর্থায়ন থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বাচ্চাদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ১ জনের মৃত্যু

নরসিংদীতে ঈদের নতুন জামা পেয়ে খুশি পথশিশুরা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:২৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবারেও অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ‘সহমর্মিতা ঈদ’ উদযাপন করেছে নরসিংদী বন্ধুসভা। ঈদ খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি ঘুরে ৬০ জন শিশুকে খুঁজে বের করা হয়। তাদের গায়ের মাপমত বা দোকানে নিয়ে গিয়ে পছন্দ অনুযায়ী নতুন জামা কিনে পড়িয়ে দেন বন্ধুরা। এছাড়াও তাদের হাতে পড়িয়ে দেওয়া হয় মেহেদীর রং। এভাবেই গত ৫ দিন (২৫ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ) নরসিংদী বন্ধুসভার সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় যাচাই-বাছাই করে নিম্ন আয়ের পরিবার খুঁজে বের করে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে এসেছেন। নরসিংদী রেলস্টেশনসংলগ্ন এলাকা, শহরের খালপাড় ও আরশীনগর বস্তিতে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়াও কয়েকজন ভিক্ষুকের হাতে খাদ্য সহায়তা এবং ভ্রাম্যমান শিশুর হাতে নতুন জামা তুলে দেওয়া হয়। খাদ্যসামগ্রীর তালিকায় ছিল, সেমাই, পোলাওর চাল, নুডুলস, সয়াবিন তেল, তরল দুধ, চিনি, পেঁয়াজ ও কিসমিস।  ৮ বছর বয়সী ইভার বাবা রাজমিস্ত্রীর সহকারীর কাজ করেন। জামা হাতে পেয়ে একগাল হেসে ইভা বলে, তোমগোর দেওয়া জামাটা খুব সুন্দর। ঈদের দিন পইড়া ঘুরতে বাইর হমু।  অসুস্থ হয়ে ৬ মাস ধরে ঘরে পড়ে থাকা বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী রহিমা আক্তার বলেন, এক্সিডেন্ট কইরা পা ভাইঙ্গা কাজের মানুষটা ঘরে পইড়া আছে। বাচ্চাডারে একটা জামাও কিননা দিতে পারি নাই। আপনারা তারে জামা কিন্যা দিয়া, ঈদের বাজার কইরা দিয়া আমাগর অনেক উপকার করছেন। আল্লাহ আপনাগর ভালো করব। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অসচ্ছ্বল পরিবারগুলোর সদস্যদের বিশেষ করে শিশুদের মুখের হাসি উপভোগ করে বন্ধুরাও খুবই আনন্দিত। তারা বলছেন, নতুন জামা পাওয়ার পর একটি শিশুর মুখে যে হাসি ফুটে উঠে, তা দেখতে পাওয়া সত্যিই আনন্দের। উপদেষ্টা, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ঈদ বাজেটের একটি অংশের অর্থায়ন থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।