
শনিবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশের আকাশে কোথাও কোন চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে বাংলাদেশে আগামীকাল ৩১ মার্চ (সোমবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। একইভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত ও পাকিস্তানেও আগামীকাল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর আগে পর্যায়ক্রমে ঈদের তারিখ জানায় ব্রুনাই, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। এই দেশগুলোতেও সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, আনোয়ারা উপজেলার প্রায় ৬০ গ্রামের মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করছেন। বিগত ২৮ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে সেহেরি খেয়ে রোজা শুরু করেন তারা। দক্ষিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা দীর্ঘ ২শত বছর পূর্ব থেকে সৌদি আরবের সময়ানুযায়ী একদিন আগে রোজা রেখে থাকেন। মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী ও ভেল্লাপাড়া, সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া ও গাটিয়াডাঙ্গা, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর সহ ৬০ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ আগামীকাল প্রথম রোজা হিসেবে আজ রাতে সেহেরি খাবেন। এ ব্যাপারে মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর এলাকার মোহাম্মদ আলমগীর এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজ সেহেরি খাবার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা যেহেতু সৌদি আরবের দিনক্ষণ অনুসরণ করি, সে অনুযায়ী আগামীকাল শনিবার আমাদের প্রথম রোজা পালন হবে।’ সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে মিল রেখে আজ রবিবার (৩০ মার্চ) পটিয়া সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করা হচ্ছে। সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদ পালন করছেন। জানা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, কর্ণফুলী উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের আকিদার মুসলমানেরা এ ঈদ পালন করছেন। প্রায় আড়াই শতাধিক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা।মির্জাখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, মির্জাখীল এলাকা ছাড়াও উপজেলার গারাংগিয়া, সোনাকানিয়া, ছোটহাতিয়া, আছারতলি, সাইরতলি, এওচিয়া, খাগরিয়া, ছদাহা, গাটিয়াডাঙ্গা এবং লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, শীলকূপের মনকিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়াসহ ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ আজ (৩০ মার্চ) রবিবার ঈদুল ফিতরের ঈদ পালন করছেন।এছাড়াও চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী রয়েছেন তারাও রবিবার ঈদ উদযাপন করছেনমির্জাখীল দরবার শরীফের মেঝ সাহেবজাদা মোঃ মছুদুর রহমান বলেন, প্রায় আড়াইশ বছর আগে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল গ্রামে হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান (রহ.) হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যে কোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা একই নিয়মে সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আজ (৩০ মার্চ) রবিবার ঈদ-উল-ফিতরের ঈদ পালন করছি আলহামদুলিল্লাহ ।