০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“শিক্ষার ছদ্মবেশে অশালীনতা?” — সহকারী শিক্ষকের বিতর্কিত আচরণে উত্তাল নরসিংদী

  • মেহেদী হাসান
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১১:০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • 102
একজন শিক্ষক, অথচ আচরণে লজ্জিত পুরো শিক্ষক সমাজ! নরসিংদীর মাধবদী থানার আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন রেজোয়ানা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন, আপত্তিকর ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। এই ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ৮৮নং শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিউলী রানী মিত্র, যিনি বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় মহিলা সম্পাদিকা এবং নরসিংদী জেলা শাখার আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, “একজন নারী শিক্ষক হয়েও তিনি যেভাবে ফেসবুকে অশালীন ভাষা ও ভিডিও দিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করছেন, তা নারী সমাজের পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশাকেও কলঙ্কিত করেছে। নৈতিকতার সম্পূর্ণ ব্যত্যয় ঘটিয়ে তিনি সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে কুৎসা রটনা করছেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।” শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ ও হতাশা শারমিন রেজোয়ানার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন ও শিক্ষানুরাগী অভিভাবকদের মাঝে উদ্বেগ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তার বিতর্কিত কিছু ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শিক্ষক সমাজে দেখা দিয়েছে বিব্রতকর পরিস্থিতি। শিউলী রানী মিত্র বলেন, “আমরা শিক্ষক, আমাদের আচরণে শিক্ষণীয় দিক থাকতে হয়। অথচ তার কার্যকলাপে আজ শিক্ষক সমাজ প্রশ্নবিদ্ধ। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তার বিরুদ্ধে আচরণগত তদন্ত ও কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিরঞ্জন কুমার রায় ‘জনদর্পণ’কে বলেন, “আমি ইতোমধ্যে একটি তদন্ত টিম গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শিক্ষা বিভাগে এমন আচরণে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ভরসাহীনতা ও হতাশা তৈরি হয়েছে। একজন শিক্ষকের কাছ থেকে যেখানে শালীনতা ও নৈতিকতার চর্চা প্রত্যাশিত, সেখানে শারমিন রেজোয়ানার এই কর্মকাণ্ড বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, দ্রুত তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত সব ভিডিও ও অশালীন পোস্ট মুছে ফেলা এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। তা না হলে শিক্ষক সংগঠনসমূহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন শিক্ষক নেতারা।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

বিয়ে শেষে ভাগ্নিকে এগিয়ে দিতে গিয়ে খুন হলেন মামা

“শিক্ষার ছদ্মবেশে অশালীনতা?” — সহকারী শিক্ষকের বিতর্কিত আচরণে উত্তাল নরসিংদী

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
একজন শিক্ষক, অথচ আচরণে লজ্জিত পুরো শিক্ষক সমাজ! নরসিংদীর মাধবদী থানার আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন রেজোয়ানা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন, আপত্তিকর ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। এই ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ৮৮নং শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিউলী রানী মিত্র, যিনি বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় মহিলা সম্পাদিকা এবং নরসিংদী জেলা শাখার আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, “একজন নারী শিক্ষক হয়েও তিনি যেভাবে ফেসবুকে অশালীন ভাষা ও ভিডিও দিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করছেন, তা নারী সমাজের পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশাকেও কলঙ্কিত করেছে। নৈতিকতার সম্পূর্ণ ব্যত্যয় ঘটিয়ে তিনি সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে কুৎসা রটনা করছেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।” শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ ও হতাশা শারমিন রেজোয়ানার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন ও শিক্ষানুরাগী অভিভাবকদের মাঝে উদ্বেগ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তার বিতর্কিত কিছু ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শিক্ষক সমাজে দেখা দিয়েছে বিব্রতকর পরিস্থিতি। শিউলী রানী মিত্র বলেন, “আমরা শিক্ষক, আমাদের আচরণে শিক্ষণীয় দিক থাকতে হয়। অথচ তার কার্যকলাপে আজ শিক্ষক সমাজ প্রশ্নবিদ্ধ। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তার বিরুদ্ধে আচরণগত তদন্ত ও কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিরঞ্জন কুমার রায় ‘জনদর্পণ’কে বলেন, “আমি ইতোমধ্যে একটি তদন্ত টিম গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শিক্ষা বিভাগে এমন আচরণে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ভরসাহীনতা ও হতাশা তৈরি হয়েছে। একজন শিক্ষকের কাছ থেকে যেখানে শালীনতা ও নৈতিকতার চর্চা প্রত্যাশিত, সেখানে শারমিন রেজোয়ানার এই কর্মকাণ্ড বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, দ্রুত তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত সব ভিডিও ও অশালীন পোস্ট মুছে ফেলা এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। তা না হলে শিক্ষক সংগঠনসমূহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন শিক্ষক নেতারা।