১০:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঘারপাড়ায় সবুকে কমেন্টের জের ধরে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন আহত

ফেসবুকে কমেন্টের জের ধরে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নে  (জামায়াত ও বিএনপি)কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে । এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায়  ৩ জনকে  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  গত ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলার বেতালপাড়া বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।
আহত ব্যক্তিরা হলো , বেতালপাড়া গ্রামের মৃত শামছুদ্দিন মন্ডলের ছেলে  ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল মন্ডল (৫৫) একই গ্রামের মৃত লাল চাঁদ বিশ্বাসের ছেলে জামায়াতের কর্মী  ছুরমান বিশ্বাস (৫৭) এবং ছুরমানের ছেলে মোমিন হোসেন (২৫)।
স্থানীয় সূত্র গুলো জানিয়েছে , বিএনপি নেতা বাবুলের ছেলে মানসিকভাবে  অসুস্থ। গত বৃহস্পতিবার সকালে সে  গ্রামে চাল সংগ্রহ করতে যান  । এ সময় তার কাছে একটি সেলাই রেঞ্জ পাওয়ায়  পেয়ে তাকে চোর সন্দেহে স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে জামায়াতের কর্মী মোমিন কমেন্ট (মন্তব্য) করেন। এই কমেন্টের সূত্র ধরে  সন্ধ্যার পর বেতালপাড়া বাজারে বাবুল ও মোমিনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিএনপি নেতা বাবুল ও জামায়াতের কর্মী ছুরমান ও তার ছেলে মোমিন গুরুতর জখম হয় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয় । এর মধ্যে জখম তিনজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, অভিযুক্তদের আটকের দাবিতে রাত নয়টার দিকে  জহুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু  তালেবের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীরা খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বলে জানা গেছে । এই ‘ঘটনার পর বাবুলের লোকজন ধাওয়া করে মোমিন ও তার বাবা ছুরমানকে খালিয়া এলাকা থেকে ধরে পুলিশকে খবর দেয় । কিন্তু পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয় বলে আবু তালেব জানায় । অভিযুক্ত মোমিন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেন, বিএনপি নেতা আবু তালেব। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা ১১টায় খাজুরা বাজার টিপিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাল্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। জহুরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মঞ্জুর কাদের জানান , ‘বন্ধুপ্রতীম সংগঠন বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জামায়াত সম্পর্কে পুলিশের কাছে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আসল ঘটনা হলো, আমাদের নেতৃবৃন্দ আহতদের হাসপাতালে পাঠাতে সহযোগিতা করেছেন। পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনাও ঘটেনি। সংঘাতের সময় ঘটনাস্থলে জামায়াতের কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের কেউ ছিলেন না।’ এবিষয়ে   খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন , ‘ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথে ইজিবাইকে দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে যেতে দেখেন, টুআইসি রাশেদ। এ সময় বিএনপি নেতা তালেব তাদেরকে আসামি বলে আটক করতে বলেন। তখন উপস্থিত বিএনপি-জামায়াতের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে রাশেদ বলেন, আগে আহতদের চিকিৎসার প্রয়োজন। মামলা হলে অভিযুক্তদের আটকের ব্যবস্থা করা যেতে পারে ।’ এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করেনি, আবার ছেড়েও দেয়নি বলে বলেছেন এসআই আব্দুর রাজ্জাক। বাঘারপাড়া থানা সূত্রে জানা গেছে , খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।  জামায়াত- বিএনপি দুই পক্ষের লোকই  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।  সংঘাত এড়াতে পুলিশকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে ।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

নবাবগঞ্জে থানায় ওপেন হাউজ-ডে অনুষ্ঠিত

বাঘারপাড়ায় সবুকে কমেন্টের জের ধরে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন আহত

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
ফেসবুকে কমেন্টের জের ধরে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নে  (জামায়াত ও বিএনপি)কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে । এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায়  ৩ জনকে  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  গত ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলার বেতালপাড়া বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।
আহত ব্যক্তিরা হলো , বেতালপাড়া গ্রামের মৃত শামছুদ্দিন মন্ডলের ছেলে  ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল মন্ডল (৫৫) একই গ্রামের মৃত লাল চাঁদ বিশ্বাসের ছেলে জামায়াতের কর্মী  ছুরমান বিশ্বাস (৫৭) এবং ছুরমানের ছেলে মোমিন হোসেন (২৫)।
স্থানীয় সূত্র গুলো জানিয়েছে , বিএনপি নেতা বাবুলের ছেলে মানসিকভাবে  অসুস্থ। গত বৃহস্পতিবার সকালে সে  গ্রামে চাল সংগ্রহ করতে যান  । এ সময় তার কাছে একটি সেলাই রেঞ্জ পাওয়ায়  পেয়ে তাকে চোর সন্দেহে স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে জামায়াতের কর্মী মোমিন কমেন্ট (মন্তব্য) করেন। এই কমেন্টের সূত্র ধরে  সন্ধ্যার পর বেতালপাড়া বাজারে বাবুল ও মোমিনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিএনপি নেতা বাবুল ও জামায়াতের কর্মী ছুরমান ও তার ছেলে মোমিন গুরুতর জখম হয় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয় । এর মধ্যে জখম তিনজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, অভিযুক্তদের আটকের দাবিতে রাত নয়টার দিকে  জহুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু  তালেবের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীরা খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বলে জানা গেছে । এই ‘ঘটনার পর বাবুলের লোকজন ধাওয়া করে মোমিন ও তার বাবা ছুরমানকে খালিয়া এলাকা থেকে ধরে পুলিশকে খবর দেয় । কিন্তু পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয় বলে আবু তালেব জানায় । অভিযুক্ত মোমিন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেন, বিএনপি নেতা আবু তালেব। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা ১১টায় খাজুরা বাজার টিপিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাল্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। জহুরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মঞ্জুর কাদের জানান , ‘বন্ধুপ্রতীম সংগঠন বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জামায়াত সম্পর্কে পুলিশের কাছে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আসল ঘটনা হলো, আমাদের নেতৃবৃন্দ আহতদের হাসপাতালে পাঠাতে সহযোগিতা করেছেন। পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনাও ঘটেনি। সংঘাতের সময় ঘটনাস্থলে জামায়াতের কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের কেউ ছিলেন না।’ এবিষয়ে   খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন , ‘ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথে ইজিবাইকে দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে যেতে দেখেন, টুআইসি রাশেদ। এ সময় বিএনপি নেতা তালেব তাদেরকে আসামি বলে আটক করতে বলেন। তখন উপস্থিত বিএনপি-জামায়াতের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে রাশেদ বলেন, আগে আহতদের চিকিৎসার প্রয়োজন। মামলা হলে অভিযুক্তদের আটকের ব্যবস্থা করা যেতে পারে ।’ এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করেনি, আবার ছেড়েও দেয়নি বলে বলেছেন এসআই আব্দুর রাজ্জাক। বাঘারপাড়া থানা সূত্রে জানা গেছে , খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।  জামায়াত- বিএনপি দুই পক্ষের লোকই  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।  সংঘাত এড়াতে পুলিশকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে ।