০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে বাইনতলা ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মনিরা বেগমকে হয়রানি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রেস ব্রিফিং

  • Shimul Bagerhat
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • 19

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরা বেগমের নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে হয়রানি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে বাইনতলা ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে বাইনতলা দাখিল মাদ্রাসায় এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মনিরা বেগমের স্বামী শেখ মোঃ জিল্লুর রহমান,  কন্যা সুমা আক্তার দিলারা, বাইনতলা ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সরদার আব্দুল কাদের, সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

মনিরা বেগম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থাকাকালীন তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনিয়ন  আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ ফকির আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে। বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় সে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আমার বিরুদ্ধে চারটি মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করে। তার সাজানো মিথ্যা মামলায় একাধিকবার আমাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। এখনো প্রকাশ্যে না এলেও সেই আব্দুল্লাহ ফকির তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব শরিফুল ইসলাম পলাশ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর আব্দুল্লাহ ফকিরের  কাছের লোক। সে পরিষদে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত। আমি যাতে পরিষদ সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে না পারি সেজন্য বিভিন্নভাবে সে আমার কাজে বাধাগ্রস্ত করছে।

এই সচিব পরিষদের কোন প্রকার হিসাব চেয়ারম্যানকে প্রদান করেন না। এখনো সে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ফকিরের নির্দেশনায় ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করছে। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।তিনি পরিষদের সচিব শরিফুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ  কামনা করেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরা বেগম আরো বলেন, পরিষদের সকল ইউপি সদস্য আমাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনীত করেছেন। তাছাড়া মহামান্য হাইকোর্ট ও আমাকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে।  তিনি যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে মনিরা বেগমের স্বামী শেখ মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, আমাদের পরিবার বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আমার স্ত্রী ও আমাকে সাতটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়। আমার তিনটা গাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে বিগত স্বৈরাচারী চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ ফকির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এখনো এদের অপকর্ম থেমে নাই। তিনি আরও জানান, তার স্ত্রী হাইকোর্টের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু একটি মহল তার স্ত্রীকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। পরিষদের কোন হিসাব ইউনিয়ন পরিষদের সচিব তার স্ত্রীকে দেয় না। তার স্ত্রী যেন ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম যেন স্বাভাবিকভাবে পালন করতে পারেন, সে বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরা বেগম একজন সৎ এবং যোগ্য নেত্রী। সে দীর্ঘদিন ধরে বাইনতলা ইউনিয়নবাসীকে সেবা দিয়ে আসছে। বিগত স্বৈরাচারের আমলে একাধিকবার মিথ্যা মামলায় তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে। এখনো তার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র চলছে। একটি মহল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মনিরা বেগমকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে ও হয়রানি করছে। সকলধরনের হয়রানি বন্ধ সহ মনিরা বেগমকে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সন্দ্বীপে এসইডিপি’র আওতায় পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

বাগেরহাটে বাইনতলা ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মনিরা বেগমকে হয়রানি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রেস ব্রিফিং

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরা বেগমের নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে হয়রানি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে বাইনতলা ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে বাইনতলা দাখিল মাদ্রাসায় এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মনিরা বেগমের স্বামী শেখ মোঃ জিল্লুর রহমান,  কন্যা সুমা আক্তার দিলারা, বাইনতলা ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সরদার আব্দুল কাদের, সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

মনিরা বেগম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থাকাকালীন তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনিয়ন  আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ ফকির আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে। বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় সে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আমার বিরুদ্ধে চারটি মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করে। তার সাজানো মিথ্যা মামলায় একাধিকবার আমাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। এখনো প্রকাশ্যে না এলেও সেই আব্দুল্লাহ ফকির তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব শরিফুল ইসলাম পলাশ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর আব্দুল্লাহ ফকিরের  কাছের লোক। সে পরিষদে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত। আমি যাতে পরিষদ সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে না পারি সেজন্য বিভিন্নভাবে সে আমার কাজে বাধাগ্রস্ত করছে।

এই সচিব পরিষদের কোন প্রকার হিসাব চেয়ারম্যানকে প্রদান করেন না। এখনো সে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ফকিরের নির্দেশনায় ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করছে। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।তিনি পরিষদের সচিব শরিফুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ  কামনা করেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরা বেগম আরো বলেন, পরিষদের সকল ইউপি সদস্য আমাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনীত করেছেন। তাছাড়া মহামান্য হাইকোর্ট ও আমাকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে।  তিনি যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে মনিরা বেগমের স্বামী শেখ মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, আমাদের পরিবার বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আমার স্ত্রী ও আমাকে সাতটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়। আমার তিনটা গাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে বিগত স্বৈরাচারী চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ ফকির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এখনো এদের অপকর্ম থেমে নাই। তিনি আরও জানান, তার স্ত্রী হাইকোর্টের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু একটি মহল তার স্ত্রীকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। পরিষদের কোন হিসাব ইউনিয়ন পরিষদের সচিব তার স্ত্রীকে দেয় না। তার স্ত্রী যেন ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম যেন স্বাভাবিকভাবে পালন করতে পারেন, সে বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরা বেগম একজন সৎ এবং যোগ্য নেত্রী। সে দীর্ঘদিন ধরে বাইনতলা ইউনিয়নবাসীকে সেবা দিয়ে আসছে। বিগত স্বৈরাচারের আমলে একাধিকবার মিথ্যা মামলায় তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে। এখনো তার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র চলছে। একটি মহল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মনিরা বেগমকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে ও হয়রানি করছে। সকলধরনের হয়রানি বন্ধ সহ মনিরা বেগমকে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।