
একটি মহল দেশে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে তাদেরকেও আওয়ামী লীগের মতো বিতাড়িত করা হবে। চট্টগ্রামের পটিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর এসব কথা বলেন। জনগণনের রায়ের মাধ্যমে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে।
তিনি আরও বলেন,পটিয়া ও আশপাশের উপজেলার যেসব ব্যাংকারকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে স্বপদে পুনর্বহাল করতে হবে। অন্যথায় গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম -১২(পটিয়া) ডা. এমদাদুল হাসানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে আব্দুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এমদাদুল হাসান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু জাহের,
আবু হানিফ, জসিম উদ্দিন আকাশ,
কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক কামরুন নাহার ডলি,যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি
আবদুর রহমান, ইঞ্চিনিয়ার নিজাম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন,ছাত্র অধিকার পরিষদের দফতর সম্পাদক আবু তোহা,কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি প্লাবন আহমদ,কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্চিনিয়ার আখতারুজ্জামান সম্রাট, চট্টগ্রাম মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ,উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক হাসান তারিক,চট্টগ্রাম মহানগর যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি শাহেদ আলম, দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব
এ্যাড. আরিফুল হক।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. এমদাদুল হাসান বলেন,সকল স্বৈরাচারী শক্তিকে রুখে দিয়ে এই দেশকে জনগণের অধিকার ভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ সেই সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে লড়বে। দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো আয়েমে জাহেলিয়াতের যুগকেও হার মানিয়েছে। অতীতে আমরা ফ্যাসিস্ট শাসন দেখেছি, বর্তমানে দেখছি চাঁদাবাজদের রাজত্ব। গণঅধিকার পরিষদের কেউ চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজিতে জড়িত নয়। আমরা মৃত্যুকে ভয় করি না, অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবসময় সামনে থাকি।
বক্তারা বলেন,দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েক হাজার ব্যাংক কর্মীকে কোনো পূর্বনোটিশ ছাড়া চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায়। তাদের অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে হবে এবং যারা এই অমানবিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।